jannatbd.com https://www.jannatbd.com/2022/12/blog-post.html

একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে

আজকের পোস্টে আমরা জানবো একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা সম্পর্কে। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন নারীরা কেন জাহান্নামে যাবে ও নারীদের পর্দা সহ ইত্যাদি সম্পর্কে। তো যারা  একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা জানেন না তাদের জন্য পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে সে সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ

একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে

একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা আমরা হয়তো জানি না। অনেকে জানতে চান যে একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে এই প্রশ্নটি। একজন নারীর বেহায়াপনা ও অশালীন চরিত্রের জন্য যদি জাহান্নামে যায় তাহলে তার জন্য যে বা যারা দায়ি তা সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক যদি কোনো নারী চরিত্র গঠন না করে তাহলে সে নারী জাহান্নামে যাবে যদি আল্লাহ চান এটা আমরা সবাই জানি। এখন আমরা জানবো একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা নিয়ে বিস্তারিত। তো চলুন জেনে নিই একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা সম্পর্কে। 
একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে এই প্রশ্ন নিয়ে অনেকের মতবিমত রয়েছে। আজকে আপনারা সে মতবিমত থেকে সঠিক ব্যাখ্যা জানতে পারবেন। একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে এ প্রসঙ্গে একজন মহিলা ৪জন পুরুষকে জাহান্নামে নিবে। একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয় তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"একজন নারী যদি বেপর্দায় চলে তাহলে ৪ জন পুরুষ জাহান্নামে যাবে। তারা হল, ঐ নারীর বাবা, বড় ভাই, স্বামী ও বড় ছেলে।" 

অর্থাৎ একজন নারী যদি বেপর্দায় চলে তাহলে সে তার পরিবারের চার জন পুরুষ কে নিয়ে যাবে জাহান্নামে। এরা হলো সে মহিলার বাবা, সে মহিলার বড় ভাই, সে মহিলার স্বামী ও সে মহিলার বড় ছেলে। তাই নারীদের প্রতি এসব পুরুষের অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। প্রতিটি বাবাকে তার সন্তান দের প্রতি পর্দার জন্য সজাগ করতে হবে। বাবার সাথে ওই মহিলার স্বামী, বড় ছেলে ও বড় ভাইকে ও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। 

কারণ একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে এর উওর স্বরূপ শার জনকে জাহান্নামে নিবে। আশা করি একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা সম্পর্কে বুঝেছেন। যদি একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান বা একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা সম্পর্কে ভালো ভাবে না বুঝেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা বুঝে যাবেন।

মহিলাদের পর্দা নিয়ে হাদিস

পর্দার আরবী প্রতিশব্দ হিজাব। হিজাবের বাংলা অর্থ- ঢেকে রাখা, আবরণ, আড়াল, অন্তরায়, আচ্ছাদান, বস্ত্রাদি দ্বারা সৌন্দর্য ঢেকে নেয়া, ইত্যাদি। ইসলামে পর্দা নিয়ে অনেক সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন। একজন নারীর জন্য পর্দা অত্যাবশ্যক কাজ। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি একজন মহিলা  কতজনকে জাহান্নামে নিবে। এখন জানবো মহিলাদের পর্দা নিয়ে হাদিস সম্পর্কে। 

হাদিস শরীফে পর্দা নিয়ে বর্ণিত আছেঃ
হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন - নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু। যখন সে পর্দাহীন হয়ে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। [তিরমিযী: ১১৭৩]

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন- নবী করিম (সা.) লা’নত (অভিশাপ) দিয়েছেন সেসব নারীদেরকে যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে। অর্থাৎ পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করে। [আবু দাউদ: ৪০৯৭]

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেনঃ স্ত্রী জাতির পর্দায় গুপ্ত থাকার সত্তা। কিন্তু যখনই তারা পর্দার বাহিরে আসে তখন শয়তান তাদের দিকে ঝুঁকে। [তিরমিযী]

এসব হাদিস হতে দেখা যায় নারীদের পর্দার প্রতি অতিরিক্ত ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তাই প্রতিটির নারী যেন তার নিজের পর্দায় সজাগ থাকতে পারে সে বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কেননা আল্লাহ পর্দার বিষয়ে একচিমটিও ছাড় দিবে না। অতএব প্রতিটি নারীর উচিত পর্দা করা সঠিক নিয়মে।

নারীদের পর্দা নিয়ে কুরআনের আয়াত

আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি একজন মহিলা  কতজনকে জাহান্নামে নিবে ও মহিলাদের পর্দা নিয়ে হাদিস এ সম্পর্কে। এখন জানবো নারীদের পর্দা নিয়ে কুরআনের আয়াত সমূহ। পর্দা নিয়ে কুরআনে বলা আছে-

আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ 
হে নারীগণ! তোমরা তোমাদের ঘরের ভিতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়ো না- যেমন ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হত। [সূরাহ আহযাব, আয়াত :৩৩]

يا ايها النبى قل لازواجك وبناتك ونساء المؤمنين 
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সূরা আহযাব : ৫৯]
وليضربن بخمرهن على جيوبهن
তরজমা : তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। [সূরা নূর : ৩১]

এছাড়াও পর্দা নিয়ে আরো অসংখ্য আয়াত রয়েছে এবং  বার বার নারীদের কে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও পালন করার বিদ্বান করা হয়েছে।

নারীদের পর্দা করার গুরুত্ব 

প্রতিটি নারীর জন্য পর্দা ইসলামে ফরজ করা হয়েছে। যে নারী এ ফরজ কাজটি পালন করবে তার জন্য পরকালে রয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। আল্লাহ সে নারীকে দুনিয়াতে যেমন সম্মানের সহুত রাখবেন পরকালে ও তাকে সম্মান প্রদান করবেন। ইসলামের মধ্যে বারংবার জোর দেয়া হয়েছে মহিলাদের পর্দা নিয়ে। তাই সবার জন্য এ ফরজ কাজটি পালন করা আবশ্যক। যে নারী এ কাজটি করবেন না তার জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। অতএব আমাদের কে ইসলামের পর্দা নিয়ে অনেক কঠোর হতে হবে।

মহিলাদের পর্দা নিয়ে শেষকথা

আমাদের সমাজে অনেক নারীরা রয়েছে যারা সঠিক ভাবে পর্দা করে না। অথচ এ নিয়ে আল্লাহ ও আমাদের নবী কারীম সাঃ ও নারীদের কে সতর্ক করেছেন। এই পোস্টের মধ্যে ও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ও একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 
আপনি যদি না বুঝে থাকেন যে একজন মহিলা কতজনকে জাহান্নামে নিবে তাহলে আবার মনোযোগ সহকারে পড়ুন।  আমাদের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক থাকা ও সঠিক নিয়মে পর্দা করা। 18801


অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া